বাংলায় প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম ও আবেদন করার নিয়ম

বাংলায় প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম ও আবেদন করার নিয়ম

প্রত্যয়ন পত্র লিখতে চাচ্ছেন কিন্তু প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম জানেন না? বাংলায় প্রত্যয়ন পত্র লিখতে চাইলে নিয়ম জানা আবশ্যক। আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে প্রত্যয়ন পত্র লেখার সহজ নিয়ম এবং কিছু নমুনা শেয়ার করবো। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে প্রত্যয়ন পত্র লেখার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যয়ন পত্রের প্রয়োজন হয়। চাকরির আবেদন, ভিসার আবেদন, ঋণের আবেদন, এমনকি বিয়েতেও প্রত্যয়ন পত্রের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ, প্রত্যয়ন পত্র ব্যক্তির দাখিল করা তথ্যের সত্যতা প্রমাণ করে। এটি মূলত কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত একটি সনদপত্র যা ব্যক্তির চারিত্রিক আচার-আচরণ, পরিচয়, এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য ধারণ করে।

প্রত্যয়ন পত্রে ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্ম অভিজ্ঞতা, পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকাকালীন আচরণ, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা থাকে। এছাড়াও, কোন ব্যক্তিকে কোন প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য সুপারিশ করার ক্ষেত্রেও প্রত্যয়ন পত্র ব্যবহার করা হয়। তো চলুন, বাংলায় প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

প্রত্যয়ন পত্র কী

প্রত্যয়ন পত্র, যাকে ইংরেজিতে Attestation বলা হয়, মূলত এক ধরণের সনাক্তকরণ সার্টিফিকেট যা ব্যক্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে সত্যায়িত করে। এতে ব্যক্তির চরিত্র, পরিচয়, এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন, চাকরির আবেদন, ভিসার আবেদন, ঋণের আবেদন, ইত্যাদি।

কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি জানাতেও প্রত্যয়ন পত্র ব্যবহার করা হয়। এতে বোঝানো হয় যে, উক্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোন আপত্তি নেই। প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম প্রয়োজন ও প্রত্যয়নকারীভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের কাজের জন্য আলাদা আলাদা প্রত্যয়ন পত্র প্রচলিত আছে।

প্রত্যয়ন পত্রের ধরণ

প্রত্যয়ন পত্র বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যয়ন পত্রের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। চাকরির আবেদন, ভিসার আবেদন, ঋণের আবেদন, এমনকি বিয়েতেও প্রত্যয়ন পত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে। নিচে কয়েক ধরনের প্রত্যয়ন পত্রের তালিকা উল্লেখ করে দিলাম।

  • উত্তরাধিকার প্রত্যয়ন পত্র
  • জাতীয়তার প্রত্যয়ন পত্র
  • কোম্পানির প্রত্যয়ন পত্র
  • মৃত্যুর প্রত্যয়ন পত্র
  • ভুমিহীন মর্মে প্রত্যয়ন পত্র
  • ‌শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র
  • ‌চারিত্রিক প্রত্যয়ন পত্র
  • ‌বিবাহিত মর্মে প্রত্যয়ন পত্র
  • চাকরির প্রত্যয়ন
  • অবিবাহিত মর্মে প্রত্যয়ন পত্র
  • এতিম মর্মে প্রত্যয়ন পত্র
  • উপজাতি মর্মে প্রত্যয়ন পত্র
  • পুনঃর্বিবাহ মর্মে প্রত্যয়ন পত্র
  • বেকারত্বের প্রত্যয়ন পত্র
  • মুক্তিযোদ্ধা মর্মে প্রত্যয়ন পত্র

এগুলো ছাড়াও আরও কয়েক ধরনের প্রত্যয়ন পত্র রয়েছে। প্রয়োজনভেদে প্রত্যয়ন পত্র পরিবর্তন হতে পারে।

নতুন ভোটার হলে, আরও পড়তে পারেনঃ ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন নিজেই

প্রত্যয়ন পত্রের প্রয়োজনীয়তা

আমাদের জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, ব্যক্তিগত, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক – প্রত্যয়ন পত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বিয়ে, এমনকি ভিসার আবেদন – প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সঠিক ও সত্যায়িত তথ্য প্রদানের জন্য প্রত্যয়ন পত্র অপরিহার্য। একজন ব্যক্তির চারিত্রিক বিষয় যাচাই করার জন্য প্রতিষ্ঠান বা বিভিন্ন পর্যায় থেকে প্রত্যয়ন পত্র চাওয়া হয়ে থাকে।

আমরা যখন স্কুল/কলেজে পড়াকালীন এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চাই, তখন একটি প্রত্যয়ন পত্র প্রয়োজন হয়। যা প্রশংসা পত্র নামেও পরিচিত। এছাড়াও, বিভিন্ন চাকুরীর ক্ষেত্রেও প্রত্যয়ন পত্র বা চারিত্রিক সনদপত্র চাওয়া হয়। তখন এটি ছাড়া চাকুরী হওয়া অসম্ভব হয়ে যায়।

এছাড়াও, কর্মক্ষেত্রে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে যেতে চাইলে পূর্বের প্রতিষ্ঠানে থাকাকালীন কোনো প্রকার রাষ্ট্র সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত ছিলো কিনা যাচাই করার জন্যই প্রত্যয়ন পত্র নেয়া হয়ে থাকে। একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে সুবিধা হবে। মনে করুন, আপনি “ক” নামক কোম্পানি থেকে “খ” নামক কোম্পানিতে যেতে চাচ্ছেন। তাহলে “ক” নামক কোম্পানি থেকে একটি প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করতে হবে এবং তা দিয়ে “খ” নামক কোম্পানিতে চাকুরী নিতে হবে।

এছাড়াও, ভিসা আবেদন করার সময় এবং অনেক সময় বিয়ের ক্ষেত্রেও প্রত্যয়ন পত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে। প্রত্যয়ন পত্রের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। তো চলুন, প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম জেনে নেয়া যাক।

প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

প্রত্যয়ন পত্র বাংলা বা ইংরেজি দুই ভাষাতেই হতে পারে। প্রত্যয়ন পত্র লেখার সময় প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম জানা থাকতে হবে। প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, জেনে নেয়া যাক।

  • প্রত্যয়ন পত্র লেখার সময় হেডলাইন করে শুরুতেই প্রত্যয়ন পত্র বা চারিত্রিক সনদপত্র লিখতে হবে।
  • যে ব্যক্তির জন্য প্রত্যয়ন পত্র লেখা হচ্ছে তার নাম, পিতা-মাতার নাম এবং অন্যান্য তথ্য এখানে যুক্ত করতে হবে।
  • প্রত্যয়ন পত্রে উক্ত ব্যক্তির চারিত্রিক এবং পারিপার্শ্বিক জীবন সম্পর্কে সঠিক তথ্য উল্লেখ করতে হবে।
  • কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যয়ন পত্র দেয়া হলে সিলমোহর থাকতে হবে। ব্যক্তি কর্তৃক দেয়া হলে স্বাক্ষর থাকতে হবে।

এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে যেকোনো ধরনের প্রত্যয়ন পত্র লিখতে পারবেন। প্রত্যয়ন পত্র কত প্রকার তা তো ইতোমধ্যে উল্লেখ করে দিয়েছি। প্রতিটি প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম প্রায় এক। তবে, প্রত্যয়ন পত্রের ধরণ অনুযায়ী এগুলোতে থাকা বিষয় পরিবর্তন হতে পারে। নিচে প্রত্যয়ন পত্র লেখার কিছু নমুনা উল্লেখ করে দিয়েছি। এগুলো অনুসরণ করে চাইলে আপনিও একটি প্রত্যয়ন পত্র লিখতে পারবেন অনেক সহজেই।

বাংলায় প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

বাংলায় যেকোনো ধরনের প্রত্যয়ন পত্র লেখার জন্য প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। নিচে কয়েকটি প্রত্যয়ন পত্র লেখার নমুনা উল্লেখ করে দিলাম। এগুলো অনুসরণ করলে আপনি নিজেই সব ধরনের প্রত্যয়ন পত্র বা প্রত্যয়ন সনদ পত্র লিখতে পারবেন।

স্কুলের প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

স্কুল বা হাই স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদেরকে প্রত্যয়ন পত্র দেয়া হয়। নিচে উল্লেখ করে দেয়া স্কুলের প্রত্যয়ন পত্র লেখার নমুনাটি অনুসরণ করে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র তৈরি করতে পারবেন।

রংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
সেন্ট্রাল রোড, রংপুর

ডাকঘর: _____ উপজেলা/ থানা: _____ জেলা: ____ক্রমিক নং: ____ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সন: ____ তারিখ: ____

প্রত্যয়ন পত্র

এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, নাম: _____ পিতা: ____ মাতা: ____ গ্রাম: ____ পোস্ট অফিস: ____ থানা: ____ জেলা: ____জন্ম তারিখ: ____ কথায়: _______ রোল নং: _____, অত্র বিদ্যালয় থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ১০ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছিল। ১০ম শ্রেণীতে তার অর্জিত ফলাফল:___________ প্রাপ্ত গ্রেড: ________ । তার শিখন মূল্যায়ন সন্তোষজন। আমার জানা মতে সে রাষ্ট্র সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত ছিলোনা এবং এখনও নেই। সে পরবর্তী শ্রেণীতে উন্নত হওয়ার যোগ্য।

শ্রেণী শিক্ষকের স্বাক্ষর: ____ প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর: ___ 

উপরোক্ত নমুনাটি অনুসরণ ওকরে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করে প্রত্যয়ন পত্র লিখতে পারবেন এবং এটি প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন। পরবর্তী ক্লাসে ভর্তি হওয়ার জন্য এই প্রত্যয়ন পত্রটি প্রয়োজন হয়ে থাকে। এছাড়াও, এই প্রত্যয়ন পত্রটিকে অনেকেই প্রশংসা পত্র বলেও চিনেন।

মাদ্রাসার প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

স্কুল বা হাই স্কুল অথবা কলেজের মতো করেই মাদ্রাসার প্রত্যয়ন পত্র লেখা যায়। মাদ্রাসার প্রত্যয়ন পত্র লেখার সঠিক নিয়ম সহ নিচে একটি নমুনা উল্লেখ করে দিলাম।

রংপুর কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা
বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ড
চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ

ডাকঘর: _____ উপজেলা/ থানা: _____ জেলা: ____ক্রমিক নং: ____ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সন: ____ তারিখ: ____

প্রত্যয়ন পত্র

এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, নাম: _____ পিতা: ____ মাতা: ____ গ্রাম: ____ পোস্ট অফিস: ____ থানা: ____ জেলা: ____জন্ম তারিখ: ____ কথায়: _______ রোল নং: _____, অত্র বিদ্যালয় থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ____ পেয়েছে। পূর্বের শ্রেণীতে তার অর্জিত ফলাফল:___________ প্রাপ্ত গ্রেড: ________ । তার শিখন মূল্যায়ন সন্তোষজন। আমার জানা মতে সে রাষ্ট্র সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত ছিলোনা এবং এখনও নেই। সে পরবর্তী শ্রেণীতে উন্নত হওয়ার যোগ্য।

শ্রেণী শিক্ষকের স্বাক্ষর: ____ প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর: ___ 

চাকরির প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

নতুন চাকুরীতে জয়েন করার পূর্বে পূর্বের প্রতিষ্ঠান থেকে একটি প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করতে হয়। প্রত্যয়ন পত্র ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীতে নেয়া হয় না। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে পূর্বে চাকুরী করেছেন, সেখানে থেকে আপনাকে একটি প্রত্যয়ন পত্র দেয়া হবে। চাকরির প্রত্যয়ন পত্রের একটি নমুনা নিচে উল্লেখ করে দেয়া হলো।

স্মারক নং: প্র. পি. কা/
তারিখ: ০৭/০৩/২০২৪

প্রত্যয়ন পত্র

এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, নাম: ____ পিতা: ____ মাতা: ____ গ্রাম: ____ পোস্ট অফিস: ____ থানা: ____ জেলা: ____। তিনি একজন সৎ এবং নিষ্ঠাবান কর্মী হিসেবে আমার প্রতিষ্ঠানে কৃতিত্বের সহিত, বিগত ৪ বছর যাবত, ____ পদে দায়িত্ব ও কর্তব্যরত ছিলেন। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং কর্মদক্ষতা অনেক ভালো।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, উক্ত ব্যক্তি ভবিষ্যতে যে কোম্পানি/প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত হবেন, সেখানে তিনি নিষ্ঠা ও সততার সাথে তার সকল দায়িত্ব পালন করবেন।

স্বাক্ষর
সিলমোহর

নতুন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীতে জয়েন করার পূর্বে পূর্বের প্রতিষ্ঠান থেকে এরূপ একটি প্রত্যয়ন পত্র নিতে হবে। এই প্রত্যয়ন পত্রে আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, আপনার ঠিকানা এবং অন্যান্য তথ্য দেয়া থাকবে। এই প্রত্যয়ন পত্র না হলে চাকুরী পেতে অনেক বেগ পোহাতে হয়।

আপনি যদি আপনার প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মীকে প্রত্যয়ন পত্র দিতে চান। তাহলে, উপরোক্ত ফরম্যাট অনুসরণ করে সহজেই একটি প্রত্যয়ন পত্র তৈরি করে নিতে পারবেন। এরপর, এই প্রত্যয়ন পত্রে উক্ত কর্মীর তথ্য লিখে তাকে দিতে পারবেন। একই ফরম্যাট অনুসরণ করে সব ধরনের চাকরির প্রত্যয়ন পত্র লিখতে পারবেন।

প্রত্যয়ন পত্রের জন্য আবেদন

প্রত্যয়ন পত্র প্রয়োজন? চাকরির আবেদন, ভিসার আবেদন, ঋণের আবেদন, এমনকি বিয়েতেও প্রত্যয়ন পত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যে প্রয়োজনেই প্রত্যয়ন পত্র লাগুক না কেন, প্রত্যয়ন পত্রের জন্য প্রথমেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পর উক্ত কর্তৃপক্ষ থেকে আপনাকে একটি প্রত্যয়ন পত্র দেয়া হবে।

অনেকেই প্রত্যয়ন পত্রের জন্য আবেদন করার নিয়ম জানেন না। তো চলুন, কীভাবে প্রত্যয়ন পত্র চেয়ে আবেদন করতে হয় তা জেনে নেয়া যাক। নিচে কয়েকটি নিয়ম এবং নমুনা উল্লেখ করে দিয়েছি। এগুলো অনুসরণ করে আবেদন করতে পারবেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্রের জন্য আবেদন

তারিখ: ০৭/০৩/২০২৪
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক
রংপুর জিলা স্কুল
ডিসি মোড়, রংপুর

বিষয়ঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্রের জন্য আবেদন

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি মোঃ ফারহান ইসলাম, পিতা: মোঃ মফিজার রহমান, মাতা: মোছাঃ ফেরদৌসি বেগম গ্রাম: ………….., ডাকঘর: …………., থানা: …………., জেলা: …………. । আমি আপনার প্রতিষ্ঠানের ৯ম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। আমার রোল নম্বর ০১। আগামী ১০ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে রংপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম এ অনুষ্ঠিতব্য জেলা পর্যায়ের গণিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমি নির্বাচিত হয়েছি। উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমার একটি প্রত্যয়ন পত্র প্রয়োজন।

অতএব, জনাবের নিকট বিনীত নিবেদন এই যে, আমাকে একটি প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করে উক্ত গণিত অলিম্পিয়াড এ অংশগ্রহণ করার সুযোগ দান করে বাধিত করবেন।

বিনীত
আপনার একান্ত অনুগত
মোঃ ফারহান ইসলাম
শ্রেণী: ৯ম
রোল: ০১

মাহে রমাযান ও সবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন: মাহে রমাযান ও শবে কদর

শেষ কথা

আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বাংলায় প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম এবং প্রত্যয়ন পত্রের জন্য আবেদন করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে কীভাবে একটি প্রত্যয়ন পত্রের জন্য আবেদন পত্র লিখতে হয় তা জানতে পারবেন। এছাড়াও, প্রত্যয়ন পত্রের নমুনা অনুসরণ করে আপনিও চাইলে একটি প্রত্যয়ন পত্র তৈরি করে নিতে পারবেন। বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রত্যয়ন পত্র লাগে। তাই, এই পোস্টটি আপনার জন্য সহায়ক হবে বলে আশা করছি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *